Home » MR Blog

MR Blog

লেখাপড়ার মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন য‌দি হয় জীবন ত‌বে প্রশিক্ষণ হ‌লো জী‌বিকা আর দক্ষতা অর্জনের জন্য প্রয়োজন অ‌ভিজ্ঞতা। জীব‌নের জন্য খাদ্য, বস্ত্র, চি‌কিৎসা যেমন প্রয়োজন তেম‌নি আধু‌নিক মানুষ হি‌সে‌বে বেঁচে থাকার জন্য লেখাপড়ার বিকল্প নেই। লেখাপড়া শে‌ষে একজন তরুণ যত‌বে‌শি প্রশিক্ষণ গ্রহণ কর‌তে পার‌বেন জীব‌নের লক্ষ্য ও স্বপ্ন তত সাম‌নে এ‌গি‌য়ে আস‌তে থাকবে। প‌রিপূর্ণ জ্ঞান, প্রশিক্ষণ আর অ‌ভিজ্ঞতা একজন তরুণকে দক্ষ হি‌সে‌বে গ‌ড়ে তুল‌তে সাহাষ্য ক‌রে।একা‌ডে‌মিক পরীক্ষায় ভাল করার জন্যই শুধু লেখাপড়ার উদ্দেশ্য হওয়া উ‌চিত না। জীবন গঠ‌নের জন্য ই পড়া‌লেখা দরকার। আমা‌দের শিক্ষা ব্যবস্থা—কে ৩৬০ ডিগ্রী তে ঘু‌ড়ি‌য়ে দেয়া দরকার। এখ‌নো আমা‌দের লেখাপড়ার উ‌দ্দেশ্য ‌যেন ভাল চাকুরীর ম‌ধ্যেই সীমাবদ্ধ। কোমলম‌তি শিশুরা ম‌নের আন‌ন্দে যেমন কাটুন দেখ‌তে পছন্দ ক‌রে, ক‌ম্পিউটা‌রে গেমস খেল‌তে পছন্দ ক‌রে সেই আন‌ন্দে পড়া‌লেখা কর‌তে চায় না কেন? কোমলম‌তি শিশুরা লেখাপড়া আর কাটুন বা ক‌ম্পিউটা‌রে গেমস যেটা‌তে আনন্দ পায় সেটা কর‌তেই পছন্দ কর‌বে এটাই স্বাভা‌বিক। তারা পড়া‌লেখার গুরুত্ব বল‌তে কি বুঝ‌বে? অ‌ভিভাবক থেকে সং‌শ্লিষ্ট মহল এ বিষয়গু‌লো কেন ভে‌বে দে‌খেন না? দুঃ‌চিন্তায় অ‌ভিভাবকরা রা‌তের ঘুম নষ্ট না ক‌রে লেখাপড়াতে আনন্দের ব্যবস্থা কর‌তে পার‌লে শিশুরা এম‌নি‌তেই লেখাপড়া‌তে ম‌নো‌নি‌বেশ কর‌বে। শিশুরা যখন পড়া‌লেখা‌তে আনন্দ খুঁজে পে‌তে থাক‌বে তখন সেটা তা‌দের ম‌ধ্যে এমনভা‌বে রপ্ত হবে যে সেটা আমৃত্য চল‌তে থাক‌বে। বর্তমা‌নে দে‌শের জনসংখ্যার প্রায় ৭০% ই তরুণ জন‌গো‌ষ্ঠি। তরু‌ণেরা হ‌লো দে‌শের সম্পদ। এ‌দের থা‌কে ভরপুর জীবনি শ‌ক্তি। দু চোখ ভরা স্বপ্ন আর কাজের প্রতি তীব্র আকর্ষণ। এরা স্বভাবগত ভা‌বেই হয় প্রতিবাদী তাই সমা‌জের সকল বিশৃখংলা ‌থে‌কে সমাজ কে রক্ষা করার স্বপ্ন দেখ‌তে ভালবা‌সে। কিন্তু কিভা‌বে সেটা তারা জা‌নে না। সমাজ প‌রিবর্তনের প্রথম পদ‌ক্ষেপ হ‌লো নি‌জে‌কে ডে‌ভেলপ করা। নি‌জে‌কে সমা‌জের চো‌খে অনুকরনীয় হি‌সে‌বে গ‌ড়ে তোলা। আর নি‌জে‌কে গ‌ড়ে তোলার জন্য প্রয়োজন নানা ধর‌ণের প্রশিক্ষণ। উপযুক্ত প্রশিক্ষ‌ণের মাধ্যমে একজন তরুণ তার জীব‌নের লক্ষ্য স্থির কর‌তে পা‌রেন। নি‌জে‌কে যোগ্য হি‌সে‌বে গ‌ড়ে না তু‌লেই তরুণেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা সাধারণ একা‌ডে‌মিক সা‌র্টিফি‌কেট গলায় ঝু‌লি‌য়ে চাকুরী বা ব্যবসার বাজা‌রে প্রবেশ করতে চান। অল্প বাধা‌তেই হতাশ হ‌য়ে ভাগ্য কে দোষারোপ কর‌তে থা‌কেন। হতাশা আর ভয় মানুষ‌কে দি‌নে দি‌নে সংকু‌চিত ক‌রে তো‌লে। ফ‌লে ঐ সকল হতাশাগ্রস্থ তরু‌ণের দি‌শেহারা না‌বি‌কের মত জীব‌নের পথ হা‌রি‌য়ে ফে‌লে। এভা‌বেই নির‌বে নিভৃ‌তে এক একটা উজ্জ্বল ন‌ক্ষত্রের পতন ঘ‌টে। সমা‌জে বোঝা বাড়‌তে থা‌কে। সুতরাং তরুণদের দে‌শের সম্প‌দে প‌রিনত কর‌তে হ‌লে সাধারণ পড়া‌লেখার শেষ হবার সা‌থে সা‌থে বি‌ভিন্ন ধর‌ণের প্রশিক্ষ‌ণের ব্যবস্থা থাকা দরকার। দে‌শের বি‌ভিন্ন সংস্থার উ‌দ্যো‌গে এ ধর‌ণের কিছু প্রশিক্ষ‌ণের ব্যবস্থা থাক‌লেও সেটা প্রয়োজ‌নের তুলনায় অপ্রতুল। উপযুক্ত প্রশিক্ষ‌ণের অভা‌বেই কত অ‌মিত সম্ভবনাময় তরুণ নি‌জের যোগ্যতা প্রমা‌নের আ‌গেই হতাশায় নিম‌জ্জিত হ‌য়ে হা‌রিয়ে যা‌চ্ছে সে হি‌সেব আমরা কয়জন রা‌খি। ম‌নে রাখা প্রয়োজন আগা‌মি শতক হ‌বে মে‌শিন নির্ভর। মে‌শিন নির্ভর সমা‌জে দক্ষতার বিকল্প থাক‌বে না। কারণ কা‌য়িক প্রায় সকল কাজই সমাধা কর‌বে মে‌শিন। শিল্প বিল্পব শুরু পর হ‌তেই মানু‌ষ জ‌নিত কা‌য়িকশ্রম ধী‌রে ধী‌রে ক‌মে আস‌ছে। আগা‌মি শত‌কে আ‌রো অ‌নেক ক‌মে যা‌বে। এমতবস্থায় একজন তরুণ‌ নি‌জে‌কে সমা‌জের সাম‌নে মেলে ধর‌তে চাই‌লে, নি‌জে‌কে আকা‌শের নক্ষ‌ত্রের কাছাকাছি নি‌তে চাই‌লে জ্ঞান, প্রশিক্ষণ আর দক্ষতার বিকল্প নেই।
  Categories : Personal Blog  Posted by Sultan Mahmud  No Comments
বর্তমা‌ন পৃ‌থিবীতে প্রায় ১৯ লক্ষ হেক্টর জ‌মি‌তে ৩২ লক্ষ টন পাট উৎপাদন হ‌য়ে থা‌কে এর ম‌ধ্যে আমা‌দের দে‌শেই প্রায় ৮.৩৫ লক্ষ মে‌ট্রিকটন অর্থাৎ পৃ‌থিবীর মোট উৎপাদ‌নের প্রায় ২৬% পাট এদে‌শে উৎপাদন হ‌চ্ছে। সোনালী ফসল পা‌ট ছিল এক সময় এদে‌শের প্রধান অর্থক‌রী ফসল। পাট শি‌ল্পের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাকে কেন্দ্র ক‌রে ১৯৫১ সা‌লে নারায়নগ‌ঞ্জে গ‌ড়ে উঠে‌ছিল পৃ‌থিবীর বৃহত্তর আদমজী জুট মিল। আলাদা পাট মন্ত্রণালয়ও গঠন করা হয়ে‌ছিল। কিন্তু প্রশ্ন জা‌গে কতটুকু উন্নয়ন হ‌য়ে‌ছে এ শি‌ল্পে? অপার সম্ভাবনাময় এ শিল্পের সা‌থে এখ‌নো প্রত্যক্ষ ও প‌রোক্ষভা‌বে প্রায় ৪ কো‌টি মানুষ জ‌ড়িত র‌য়ে‌ছেন। শুধুমাত্র স‌ঠিক প‌রিকল্পনা আর যথাযথ ম‌নিট‌রিং এর অভা‌বে ধী‌রে ধী‌রে ‌বিলীন হবার প‌থে এসে দা‌ড়ি‌য়ে‌ছে শিল্পটা। দে‌শে বর্তমা‌নে ৩২টি সরকারী ও ২২১টি বেসরকারী পাটকল থাক‌লেও লোকসানের অজুহা‌তে ৩০টি সরকারী পাটকলই বন্ধ ক‌রে দেয়া হয়ে‌ছে। প্রসংগত উ‌ল্লেখ করা প্র‌য়োজন সরকারী ২৬টি সরকারী পাটক‌লে মোট জ‌মির প‌রিমানই প্রায় ১.৩১৩ একর। অপ‌রিক‌ল্পিত নগরায়‌নের ফ‌লে দে‌শে প্র‌তি‌দিন কৃ‌ষিজ‌মি ক‌মে যা‌চ্ছে সেখা‌নে মৃত প্রায় সরকারী পাটকলের জ‌মিগু‌লো বছ‌রের পর বছর ফে‌লে না‌ রে‌খে কৃ‌ষি কর্মকা‌ন্ডের উ‌দ্যোগ নি‌লেও ‌দে‌শের বিপুল জন‌গো‌ষ্টির খা‌দ্যের চা‌হিদা পূর‌ণে অবদান রাখা সম্ভব হ‌তো। কেন সরকারী পাটকলগু‌লোতে টানা লোকসান হ‌চ্ছে সেটা অনুসন্ধা‌ন করতঃ কার্যকর কোন পদ‌ক্ষেপ কখ‌নো চো‌খে প‌ড়ে‌ছে ব‌লে আমার ম‌নে প‌ড়ে না। কেন লোকসান হ‌চ্ছে এ প্রশ্ন কা‌কে কর‌বো? ‌কে এর উত্তর দে‌বেন জানা‌ নেই।একথা সক‌লেই জা‌না একপ্রা‌ন্তে সরকারী পাটকলগু‌লো যখন লোকসা‌নের অজুহাতে বন্ধ হ‌চ্ছে অন্যপ্রান্তে বেসরকারী পাটকলগু‌লো দিনরাত উৎপাদন ক‌রেও বাজা‌রের চা‌হিদা মোতা‌বক দ্রব্য সরবরাহ কর‌তে পার‌ছে না। ‌উ‌দ্যোক্তাগন আ‌রো নতুন জুট‌মিল তৈরীর জন্য প্রস্তুতি নি‌চ্ছেন। ‌বি‌শ্বের ৫০‌টি দে‌শে পাটজাত দ্রব্য নিয়‌মিত রপ্তানী হ‌য়ে হ‌চ্ছে। ইউঃ ইউ‌নিয়‌নের ২৫টি দে‌শের বাই‌রেও কো‌রিয়া, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, অ‌ষ্ট্রেলিয়াসহ আরো ১২০‌টি দে‌শে পা‌টের প‌ণ্যের ব্যাপক চা‌হিদা র‌য়ে‌ছে। তথ্যমতে ‌দে‌শে ক্ষুদ্র ও মাঝা‌রি মি‌লি‌য়ে প্রায় ৭০০ প্রতিষ্ঠান পাটজাত পণ্য তৈরির সা‌থে যুক্ত র‌য়ে‌ছে। দেশীয় উ‌দ্যোক্তাগন ১৫০‌ ধর‌ণের পণ্য উৎপাদন ক‌রে বি‌দে‌শে রপ্তানীও কর‌ছেন। গত ২০১৯-২০ এবং ২০২০-২১ অর্থবছ‌রে এ সেক্টর থে‌কে তৈরী দ্রব্য রপ্তানী ক‌রে যথাক্র‌মে ৭৯ কো‌টি ১৩ লক্ষ ও ১১৬ কো‌টি ডলার আয় ক‌রে‌ছে দেশ যা জি‌ডি‌পি‌তে খুবই সামান্য অবদান রাখ‌ছে। অথচ এ‌ শিল্প‌টিই একসময় প্রধান অর্থকরী ফসল হি‌সে‌বে বি‌বে‌চিত হ‌তো।প‌রি‌শে‌ষে সহজ সরলভা‌বেই বল‌তে চাই, গতানু‌গতিক ব্যবহারের ধারণা থে‌কে বে‌র হ‌য়ে অপার সম্ভাবনাময় শিল্প‌টির প্রতি যত্ন নেয়া প্রয়োজন। পাটজাত দ্রব্যের মাধ্যমে আ‌রো বেশী মানু‌ষের কর্ম সংস্থান সৃ‌ষ্টির পাশাপা‌শি লক্ষ কো‌টি ডলার বি‌দেশ থে‌কে উপার্জন করা এ এখন আর অলীক কোন স্বপ্ন নয়।
  Categories : Personal Blog  Posted by Sultan Mahmud  No Comments
জনসংখ্যার আধিক্যের বিষয়ে পেপার, পত্রিকা, সেমিনার, সেম্পুজিয়ামে নানা কথা হয়। আমরা নিজেরাও চায়ের টেবিলে বা আড্ডাতে জনসংখ্যার আধিক্যের জন্য নানাভাবে আতংকিত থাকি। কিন্তু জনসংখ্যার আধিক্য বোঝা না হয়ে আর্শীবাদ হতে পারে সে বিষয়টা ভেবে দেখার প্রয়োজন বোধ করি না। উন্নত রাষ্ট্র তাদের জনগন কে বোঝা মনে করে না বরং দেশের সম্পদ মনে করে থাকে। সেই সম্পদকে ঘিরে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করে। কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী ধারাবাহিকভাবে কাজ শুরু করে। যার দরুণ উন্নত রাষ্ট্রসমুহের জনগোষ্ঠি রাষ্ট্রের জন্য বোঝা না হয়ে সম্পদে পরিনত হয়।প্রকৃত উন্নয়ন মানে রাষ্ট্রে বসবাসরত সকল জনগোষ্ঠির মানসিকতার উন্নয়ন। উন্নত মানসিকতার জনগোষ্ঠীই উন্নত সমাজ গড়ে তুলতে পারে। মানসিকতার এ উন্নয়ন ঘটাতে প্রয়োজন সুশিক্ষা, উদ্দেশ্যভিত্তিক শিক্ষা, রুচিশীল সংস্কৃতি এবং উন্নত প্রশিক্ষণ। সুশিক্ষা জনগনের মানসিকতার ইতিবাচক পরিবর্তন আনে। আবার শিক্ষা বলতে শুধুমাত্র একাডেমিক লেখাপড়া মানে বাংলা, ইংরেজি, বিজ্ঞান বা ভালো অংক জানাকেই বোঝায় না। এগুলো ছাড়াও সুশিক্ষা মনের ভিত্তিমুলে ধর্মীয় মূল্যবোধ, অনুসন্ধানী মনোভাব ও সৃষ্টিশীল মানসিকতা, সততা, জাগ্রত বিবেক ও মূল্যেবাধ, দেশপ্রেম এবং ন্যায়নিষ্ঠার মতো মানবিক গুনগুলো জেগে উঠাকে বোঝায়। এ গুনগুলোর সূচক যত উপরের দিকে যাবে জনগন তত সুশিক্ষিত হবে। বস্তুত দেশের উন্নয়ন মানে দেশের মানব সম্পদের উন্নয়ন আর মানব সম্পদের উন্নয়ন হলো আর্থ—সামাজিক উন্নয়ন। মানব—সম্পদকে অনুন্নত রেখে কোন প্রকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। মানব সম্পদের প্রকৃত উন্নয়ন না ঘটিয়ে যদি উন্নয়নের চেষ্টা করা হয় তবে সেখানে অনুপ্রবেশ ঘটবে দূর্নীতি, দুর্বৃত্তায়ন, দুঃশাসন ও দূর্ভেদ্য অন্ধকার। এটাকে আপাত দৃষ্টিতে উন্নয়ন মনে হলেও সে উন্নয়ন সাময়িক, ফুঁ দেয়া ফোলানো বেলুনের মতোই হবে। টেকসই উন্নয়ন হবে না। সে জন্য আমাদের সকলের দুরদর্শী লেন্সওয়ালা চশমা পরা দরকার।উন্নত দেশ ও সমৃদ্ধ জাতি গড়তে প্রয়োজন পরিকল্পিত শিক্ষা ব্যবস্থার। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় জনগনের জন্য পরিকল্পিত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা আছে কি? শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষার বই থেকে শেখে এক আর বাইরের পরিবেশ থেকে শেখে উল্টোটা। বইয়ের ঘটনার সাথে বাস্তব ঘটনাকে মেলাতে শেখে না। লেখাপড়া মনের গহীনে চিন্তার উদ্রেক ঘটায় না। মনের মধ্যে কোন সৃষ্টিশীলতা জন্মায় না। জীবনের জন্য শিক্ষা নেই, সমাজের জন্য উপযুক্ত মানুষ হবার শিক্ষা নেই, কর্মমূখী শিক্ষা নেই, স্বাস্থ্য শিক্ষা নেই, নৈতিকতার শিক্ষা নেই অথচ প্রতিদিন দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে শিক্ষার হার বেড়েই চলেছে। কতশত কোমলমতি প্রস্ফুরিত হবার আগেই ঝরে যাচ্ছে। অবুঝ শিশুরা জীবনে উন্নতির অর্থ কি—বা বোঝে? প্রকৃত শিক্ষা আর প্রশিক্ষণের অভাবে কুড়িঁতেই ঝড়ে যাচ্ছে। ফলে এরা অল্প বয়সে বিপথে চলে যাচ্ছে। এভাবেই প্রতিদিন দেশ—সমাজ পিছিয়ে যাচ্ছে, জনগোষ্ঠি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এসব নিয়ে কারো মাথা ব্যাথা নেই, উচ্চবাক্যও নেই। একসময় যখন নিজের অক্ষমতার কথা বোঝে তখন আর ফেরার পথ থাকে না। জোড়াতালি দিয়ে শিক্ষার উন্নয়ন যে অতিরঞ্জিত সচেতন জনগন জানে। আমরা লেখাপড়ার উদ্দেশ্যকে জীবন পরিচালনা জন্য শিক্ষা না ভেবে চাকুরী পাবার সংর্কীণ মানসিকতাতেই রয়ে গেছি। শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ার সাথে প্রয়োজনীয় স্কীল না শিখে শুধুমাত্র সাধারণ লেখাপড়া শিখে চাকুরীর বাজারে ভীড় করছে যার দরুণ বেকারত্ব দিন দিন বাড়চ্ছে। প্রকৃত শিক্ষা আর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা না করা গেলে শুধু অবকাঠমোগত উন্নয়ন দিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। অল্প সময়ের মধ্যে তা মুখ থুবড়ে পড়তে বাধ্য।
  Categories : Uncategorized  Posted by Sultan Mahmud  No Comments
২০১৩ সালের তথ্যানুযায়ী দে‌শে ৫কোটি ৮১লাখ মানুষ ক‌র্মের মধ্যে ছিলেন।২০১৭সালের জরিপ অনুযায়ী ৬ কোটি ৮লক্ষ লোক কাজের মধ্যে ছিলেন। অর্থাৎ ৪ বছরে নতুন কর্মসংস্থান হয়েছে মাত্র ২৭লাখ।প্রতিবছর ৬ লক্ষ৭৫ হাজার মানু‌ষের কর্মসংস্থান হ‌য়ে‌ছে।বর্তমান সরকা‌রের ২০১৮সা‌লের নির্বাচনী ওয়াদা ছিল পরবর্তী ৩ বছ‌রে(২০১৯,২০২০ও২০২১)অন্তত ২১লাখ দক্ষ কর্মী বি‌দে‌শে পাঠা‌নো হ‌বে।এখন পর্যন্ত ২,৫ বছ‌রে মাত্র ১১লক্ষ দক্ষকর্মী বি‌দে‌শে যে‌তে পে‌রে‌ছেন। চাকুরী বাজা‌রে এমন ধস নামার অন্যতম প্রধান কারণই হ‌লো করোনা মহামারী।‌দে‌শে প্রতি বছর প্রায় ১৮-২২ লক্ষ কর্মক্ষম মানুষ জব মা‌র্কেটে আস‌লেও প্রায় ১৫লক্ষ তরুণ/তরুণীই নতুন ক‌রে বেকা‌রের তা‌লিকায় নাম লেখা‌চ্ছেন। এ‌দের ম‌ধ্যে কিছু সংখ্যক বি‌দে‌শে পা‌ড়ি জমা‌চ্ছেন, কিছু সংখ্যক অনানুষ্ঠা‌নিক কা‌জে নি‌য়ো‌জিত কর‌ছেন, কিছু সংখ্যক মানুষ উ‌দ্যোক্তা হি‌সে‌বে ‌নি‌জে‌কে আত্মপ্রকাশ কর‌ছেন বাকীরা বল‌তে গে‌লে সারাজীবন বেকারই থে‌কে যান।এই অবস্থা থে‌কে বের হ‌য়ে আসাটা যে খুবই জরুরী এ কথা বলার অ‌পেক্ষা রা‌খে না। আমা‌দের হা‌তে হয়‌তো আলা‌দি‌নে চেড়াগ নেই কিন্ত আমা‌দের র‌য়ে‌ছে মোট জনসংখ্যার ৭০শতাংশ তারু‌ণ্যে ভরপুর (১৮ হ‌তে ২৫ বছ‌র)যুব সমাজ। ‌দে‌শের মানু‌ষের বর্তমা‌নে গড় আয়ু ৭২,৬০ বছর। এ সম্পদ বি‌শ্বের হা‌তে গোনা অল্প কিছু দে‌শের র‌য়ে‌ছে। এ সম্পদ‌কে কা‌জে লাগি‌য়ে অর্থনৈ‌তিক পরাশ‌ক্তি‌তে প‌রিনত হওয়া ‌কোন অলীক কল্পনা নয়।শুধুমাত্র ভৌগলিক অবস্থা‌নের কারণেই বাংলা‌দেশ বর্তমা‌নে বিশ্ব দরবা‌রে বি‌শেষ সমীহ আদায়ে সমর্থ হ‌চ্ছে। বি‌শ্বের বৃহৎ ১০০মাইল লম্বা কক্সবাজার সী‌ বিজ কে কেন্দ্র ক‌রেই পর্যতন শি‌ল্পে মি‌লিয়ন কো‌টি ডলার আয় করা কি অসম্ভব কিছু?উ‌দ্যোক্তা হি‌সে‌বে নি‌জে‌কে আত্মপ্রকাশ করার সূর্বণ‌ সময় এখন। ৪র্থ শিল্প বিল্পব কড়া নাড়‌ছে। শি‌ক্ষিত তরুণ তরুণী‌দের চাকুরীর পিছ‌নে ঘু‌রে ঘু‌রে সময় নষ্ট না ক‌রে নি‌জের পছন্দমত কা‌জে নে‌মে পড়ার এখনই সময়। একজন উ‌দ্যোক্তা নিজেই ই‌তিহা‌সের অংশ হ‌তে পা‌রেন। উ‌দ্যোক্তা স্বপ্ন দে‌খেন আর সেই স্বপ্ন‌কে বাস্ত‌বে রুপ দি‌তে নি‌জে‌কে উৎসর্গ ক‌রেন ব‌লেই পৃ‌থিবী তার গ‌তি‌তে এ‌গি‌য়ে চ‌লে‌ছে।
  Categories : Personal Blog  Posted by Sultan Mahmud   , , ,  No Comments
র্বৈ‌শ্বিক প‌রিবর্তণের যে ঢেউ বিশ্বব্যাপী শুরু হ‌য়ে‌ছে সেই প‌রিবর্তনের তাপ লা‌গে‌নি পৃ‌থিবী‌তে এমন দেশ এমন সমাজ খুঁজে পাওয়া স‌ত্যিই দুঃস্কর। দে‌শের ধনী থে‌কে সাধারণ, উচ্চ থে‌কে নিন্ম পর্যায় পর্যন্ত প‌রিবর্তণের ছোঁয়া লে‌গে‌ছে সর্বত্র। দীর্ঘ দুবছর অদৃশ্য করোনা মহামারী বিরু‌দ্ধে যুদ্ধে দেশ হা‌রি‌য়েছে অনেক জ্ঞানী, গুনী, প‌থিতযশা মানুষ‌কে, তেমননি প‌রিবার হা‌রি‌য়ে‌ছে তা‌দের আপনজন‌কে। শোকাগ্রস্থ, ক্লান্ত, বিষন্ন, প‌রিশ্রান্ত মানুষ আবার শুরু কর‌তে চাইলো। এগিয়ে যাবার দৃঢ় প্রত্যয় দীর্ঘদি‌নের শোক,ক্ষ‌তি—কে শ‌ক্তি‌তে প‌রিনত ক‌রে নতুন ক‌রে জীবন সংগ্রা‌মে নাম‌তে না নাম‌তে আকস্মিৎ শুরু হ‌লো মানবসৃষ্ট সমস্যা ক্ষমতাবান‌দের আধিপত্য বিস্তা‌রের নতুন খেলা। বিশ্ব যখন ৪র্থ শিল্প বিল্পব‌কে স্বাগত জানা‌তে প্রস্তু‌তি নি‌চ্ছে এমনি সময় ইউ‌ক্রন—রা‌শিয়া যুদ্ধ গোটা বিশ্বব্যবস্থাকে এ‌কবা‌রে ওলোট পালট ক‌রে দিল। দীর্ঘ ৬মাস ব্যাপি যে যুদ্ধ চল‌ছে শেষ ক‌বে কেউ বল‌তে পার‌ছে না অথচ বিগত ৬মা‌সে পৃ‌থিবীর অনেক দে‌শের অর্থনৈ‌তিক ব্যবস্থা এ‌কবা‌রে ভে‌ঙ্গে প‌ড়ে‌ছে। মহামারী কোভিডের কারণে পৃথিবী যতটুকু ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তার চেয়ে বহুগুন বেশী হয়েছে ইউ‌ক্রন—রা‌শিয়া যুদ্ধ। আমদানী নির্ভর প্রিয় বাংলা‌দে‌শের অর্থনৈ‌তিক অবস্থাও খুব নাজুক হয়ে পড়েছে। কিছু‌ দিন আগেও ৪৮ বি‌লিয়ন ডলার রিজার্ভ নি‌য়ে গর্ব করলেও এখন নেমে এসেছে মাত্র ৩৯বি‌লিয়ন ডলারে। গ‌র্বিত জা‌তি হি‌সে‌বে ভঙ্গুর অর্থনৈ‌তিক দেশ শ্রীলংকা—কে ঋণ প্রদান করলাম, বিদ্যুত স্বয়ংসম্পন্ন দাবী ক‌রে দেশব্যাপি উৎসব করলাম, ১৫/১৬ হাজার মেগাওয়াট বিত্য চা‌হিদা বিপরী‌তে ২৫হাজার মেগাওয়ার বিদ্যুত উৎপাদ‌নের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ ক‌রে লক্ষ—কো‌টি টাকার ব্যয় করছি দীর্ঘ অনেক বছর ধ‌রে টা‌র্গেটঃচা‌হিদার অতিরিক্ত বিদ্যুত বি‌দে‌শে রফতানী, নি‌জের অর্থায়‌নে (প্রায়৩৩,০০০কো‌টি টাকা ব্যয়) তৈরী পদ্মা সেতু আমা‌দের অহংকার। সারাদে‌শে ১০০টা অর্থনৈ‌তিকজোন তৈরীর উদ্যোগ দ্রুত বিকাশমান অর্থনৈ‌তিক স্থি‌তিশীলতাকেই ম‌নে ক‌রি‌য়ে দেয়। কৃ‌ষি‌ বিল্পবের মাধ্যমে বি‌শ্বের অন্যতম ঘনবস‌তি দে‌শের ১৭কো‌টি মানু‌ষের খাদ্য নিরাপত্তা সারা বিশ্বকে তাক লা‌গি‌য়ে দি‌য়ে‌ছে। ভারত‌সহ দ‌ক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশ‌কে পিছ‌নে ফে‌লে মাথাপিচু আ‌য়ে শীর্ষস্থান আমা‌দের সফলতার আরেক নাম। দেশ ক্রমাগত এগিয়ে যাবার প‌থে মরন কামড় যেন বসি‌য়ে দি‌য়ে‌ছে ইউ‌ক্রন—রা‌শিয়া যুদ্ধ। সারাবি‌শ্বের অর্থনৈ‌তিক ব্যাবস্থাতে লে‌গে‌ছে প্রচন্ড ঝাঁকু‌নি। আমদানী নির্ভর বাংলা‌দেশও সেই ঝাঁকু‌নি থে‌কে রেহাই পায়নি। প্রস্তু‌তি নেবার পর্যাপ্ত সময় না পাওয়া‌য় অর্থনৈ‌তিক ব্যবস্থাতে শুরু হ‌য়ে‌ছে নানা বিশৃঙ্খলা। রাতারা‌তি ডলারের দাম বৃ‌দ্ধিতে দেশীয় টাকার মান ক‌মে গে‌ছে, মুদ্রাস্ফী‌তি বেড়েছে জ্যামিতিকহারে, নাগ‌রিক জীব‌নে ব্যয় বাড়‌চ্ছে প্রতি‌দিন। সরকার ডলার সেইভ করতে আমদানী প্রক্রিয়া‌তে নানামূখী বাধ্যবাধকতা দেয়ায় বাজা‌রে”র”ম্যাটেরিয়াল সংক‌ট তীব্র হয়েছে। যার প্রভাবে দেশের উৎপাদন শি‌ল্পেও আঘাত হে‌নে‌ছে। উৎপাদ‌ন ব্যয় অনেক বৃ‌দ্ধি পে‌য়ে‌ছে। দেশীয় উৎপাদন শিল্প‌কে আরো জ‌টিল ক‌রে তু‌লে‌ছে ঘন ঘন বিদ্যুতের লোড শেডিং। উদ্যোক্তাসহ দে‌শের সকল শ্রেণীর সকল ব‌র্ণের মানু‌ষের জীবন আরো অসহনীয় ক‌রে তু‌লে‌ছে অস্বাভা‌বিক তে‌লের মূল্য বৃ‌দ্ধি। বিদ্যুত ও জ্বালানীর মত গুরুত্বপূর্ণ সেক্ট‌রের অস্বাভা‌বিকতায় মানু‌ষের জীব‌নে ছন্দ‌ পতন ঘটে‌ছে। বৈশ্বিক উঞ্চতা বৃদ্ধিও অদুর ভবিষ্যতে আমাদের জন্য একটা বড় চ্যলেঞ্জ হয়ে দাড়াবে।করনীয়ঃজীব‌নে ছন্দ পতন ঘটবে, বাধা বিপ‌ত্তি আসবে কিন্তু হাল ছাড়া যা‌বে না বন্ধু। অজানা স্বপ্নের নৌকায়পাল তোলা হয়েছে তী‌রে তো পৌঁছ‌তেই হ‌বে। চাকুরী ছে‌ড়ে ব্যবসা বা উদ্যোক্তা হি‌সে‌বে প্রতি‌ষ্ঠিত কর‌তে সমা‌জে সীমা‌হীন বাধা আর অব‌হেলা সইতে হয় সত্য তবু আত্নবিশ্বাস হারানো যাবে না। ক্র্যাইসিস সময়ে আত্নবিশ্বাস টিকে থাকার মুলমন্ত্র। বর্তমান সম‌য়ে আত্ন‌বিশ্বা‌সের সা‌থে চল‌তে প্রয়োজন অনেক ধর‌ণের দক্ষতার। নানা ধর‌ণের প্রশিক্ষণ আর অভিজ্ঞতা ম্যাধ্যমে আমা‌দের দক্ষ হ‌য়ে উঠ‌তে হ‌বে। ১৮০০শতাব্দীতে শিল্প বিল্পব শুরু পর থেকে কায়িকশ্রম কমে আসছে। কায়িকশ্রমের বদলে যন্ত্রের উপর নির্ভরশীলতা বাড়ছে মানুষের। প্রতিটি সেক্টরে আধুনিক ব্যবস্থার সাথে নিজেকে খাপ খাইতে নিয়ে চলতে হবে নইলে মাঝপথেই থেমে যেতে হবে সুতরাং দক্ষতা অর্জনের বিকল্প নেই মনে রাখতে হবে ”শিক্ষা য‌দি হয় জীবন ত‌বে প্রশিক্ষণ হ‌লো জী‌বিকা”। বি‌সিকসহ বেশ কিছু সরকারী সংস্থা স্বল্প খর‌চে নানা ধরণের প্রশিক্ষ‌ণের ব্যবস্থা ক‌রছে যদিও সেটা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। সারা বছরই এধরণের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন। প্রশিক্ষণ মানুষকে দিনদিন দক্ষ হতে সাহাষ্য করে। দুঃখ হয় একজন উদ্যোক্তাকে এই সমা‌জে কেউ ফুল দি‌য়ে বরণ ক‌রে না। সেটা প‌রিবারই ব‌লি বা সমাজ। এদে‌শের বাবা—মা এখ‌নো স্বপ্ন দে‌খেন তা‌দের ছে‌লে—মে‌য়ে লেখাপড়া শে‌ষে সরকারী চাকুরী করবে বা বড় কোন কোম্পানী—তে। বেতন যেটাই হোক চাকুরীর সাথেই পরিবারের মান—মর্যাদা জড়িত বলে বিশ্বাস করেন। কিন্তু ভে‌বে দে‌খেন না বড় কোম্পানী যারা বা‌নি‌য়ে‌ছেন তারাও এক একজন উদ্যোক্তা। এখ‌নো বড় চেয়া‌রে ব‌সে থাকা আমলাগন উদীয়মান উদ্যোক্তা—কে সহানুভু‌তির চো‌খে না দে‌খে ভাবেন সমা‌জের অকর্ম মানুষই হিসেবেই মনে করেন। তা‌দের চিন্তাতেই আসেনা এই অমীত সম্ভাবনাময় তরুণই হয়‌তো এক‌দিন দে‌শের ইতিহাস বদ‌লে দি‌তে পা‌রে। নিঃসং‌কোচ চি‌ত্তে বল‌তে পা‌রি শত প্রতিকুলতার মা‌ঝে এগিয়ে চলা একজন উদ্যোক্তা অন্য যেকোন পেশাজীবির চে‌য়ে মান‌সিকভা‌বে অনেক শ‌ক্তিশালী। শত সম্ভাবনার আমা‌দের এই মাতৃভূ‌মি‌তে উদীয়মান উদ্যোক্তা সর্ম্পকে মি‌ডিয়া‌তে যতই ভাল কথা বলা হোক না কেন বাস্তবতা যে ভিন্ন এখা‌নে উপ‌স্থিত সক‌লে এক বা‌ক্যে স্বীকার কর‌বেন। তাহ‌লে আমরা কি থে‌মে যাব? না আমরা তো থেমে যাবার জন্য শুরু করিনি বরং ম‌নের গহী‌নের লা‌লিত স্বপ্নের বাস্তবরুপ দি‌তে আরো আপডেট হবো। কারণ প্রকৃ‌তি সব সময় সাহসী মানুষের পা‌শে থে‌কে সাহা‌ষ্যের হাত বা‌ড়ি‌য়ে দেয়। দে‌শে এখ‌নো প্রায় ৫কো‌টি মানুষ বেকার। ছোট একটা সফল উদ্যোগ প‌রোক্ষ বা প্রত্যক্ষভাবে ৪০/৫০জ‌ন মানু‌ষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে। দে‌শের কৃ‌ষি শি‌ল্পের বিস্ময়কর অগ্রগ‌তির পিছ‌নে র‌য়ে‌ছে এমন সফল ছোট ছোট উদ্যোগ। অনেক ছোট সফল উদ্যোগের পরবর্তী বাস্তবরুপই আজ‌কের রপ্তানীমু‌খি চামড়া, পাট, মাছ, প্লোট্রি, হস্তশিল্পসহ আরো অনেককিছু। ৫০বি‌লিয়ন ডলার পণ্য রপ্তানীর মাইল ফলক পার ক‌রে‌ছি গতবছর। এ বছর ৫৮বি‌লিয়ন ডলার লক্ষ্যমাত্রা থাক‌লেও আশা করা যায় ৭০বি‌লিয়ন ডলারে যে‌তে পার‌বো। এই জুলাই/২২ মাসেও ৪বিলিয়ন ডলার পণ্য রপ্তানী এবং পরিশ্রমী রেমিটেন্স যোদ্ধারা ২বিলিয়ন ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। সাহসী রেমিটেন্স যোদ্ধাদের প্রতি রইল সালাম। আমদানী উপর চাপ কমিয়ে রপ্তানী বৃদ্ধির জন্য দক্ষ মানবশক্তির দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে খুব বেশী বেগ পেতে হবেনা কারণ আমাদের মোট জনসংখ্যার ৪১% তরুণ বা যুবক যা মোট শ্রমশক্তির প্রায় ৬০%।১৯১১—১২ সালে মাওসেতুং উপলদ্ধি করেছিলেন চীনকে সামনে এগিয়ে যেতে হলে বহুল জনগোষ্টিকে সম্পদে পরিনত করা প্রয়োজন। সে লক্ষ্যে চীন সরকা‌রের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠ‌পোষকতায় ঘ‌রে ঘরে কু‌টিরশি‌ল্প গ‌ড়ে উঠেছিল। জনশ‌ক্তি‌কে জনসম্প‌দে প‌রিনত করার ধারাবা‌হিক প্রচেষ্টার ফলস্বরুপই আজ‌কের অর্থনৈ‌তিক পরাশ‌ক্তি চীন।পৃ‌থিবী‌তে এমন অনেক দেশের উদাহরণ দেখ‌তে পাই যারা জনশ‌ক্তি‌কে সম্প‌দে প‌রিনত ক‌রে‌ বিশ্বে অর্থনৈ‌তিক পরাশক্তি হিসেবে নাম লিখিয়েছে। একজনসাকসেসফুল উদ্যোক্তা টাইম ম্যানেজমেন্ট বা যেকোন পরিস্থিতির সাথে যেমন মানিয়ে নিতে পারেন তেমনি ক্রিয়েটিভিটি বা নিত্যনতুন আইডিয়া সৃষ্টির ক্ষমতাও তার অসাধারণ আর যোগাযোগ দক্ষতা তো থাকাতেই হবে। প্রবাদপুরুষ ওয়ারেন বাফেটকে প্রশ্ন করা হয়েছিল ১ম জনের আইকিউ অনেক বেশী আর ২য়জনের ধৈষ্যশীলতা ও ডিসিপ্লিন্ডনতা কাকে বেছে নেবেন তিনি ২য়জনকে বেছে নিতে চেয়েছেন। কারণ তীক্ষ্র মেধার চেয়ে লেগে থাকার গুন বেশী দরকার। গবেষণায় দেখা যায় শুধু লেগে থাকার প্রবনতা না থাকার দরুন ২০% উদ্যোক্তা ১ম বার ব্যর্থ হয়ে নিজেকে গুটিয়ে নেয়।এজন্য সরকারী সহায়তায় নিয়মিত উৎপাদনমুখী প্রশিক্ষণ এবং প্রশিক্ষণ শেষে নানা লজিষ্টিক সহায়তাসহ নিবিড় মনিটরিংএর মাধ্যমে একজন উদ্যোক্তা আত্নবিশ্বাসের সাথে উৎপাদনমুখী কর্মকান্ডে নিয়োজিত হতে পারবেন। দেশের ব্যাংক ব্যবস্থা অত্যন্ত জটিল। পুজিঁবাদী ব্যাংকিং সিষ্টেমে একজন র্ষ্টাটআপ উদ্যোক্তার জন্য ব্যাংক ঋণ যেন রীতিমত দুঃস্বপ্নের মত। ঋণপ্রাপ্তির জন্য এমন সব যোগ্যতা চাওয়া হয় তা পুরণ সময় সাপেক্ষ। একজন উদ্যোক্তা কর্ম—এর মাধ্যমে ইতিহা‌সের অংশ হ‌তে পা‌রেন যেটা একজন চাকুরীজীবির প‌ক্ষে কখ‌নো সম্ভব না। আত্নবিশ্বা‌সে ভরপুর উদ্যোক্তা হিসেবে আপনাদের সকলের সাথে বলতে চাই আমরা তো শত প্রতিকুলতা মোকা‌বেলা ক‌রেই টি‌কে আছি ভবিষ্যতেও পা‌রবো আশা ক‌রি। মহান আল্লাহ্ রহম‌তে অচিরেই বিশ্ব তার স্বাভা‌বিক গ‌তি‌তে ফি‌রে আস‌বে আশা করি। আমরা আরো বড় উদ্যোগ গ্রহ‌ণের মাধ্যমে এদেশকে উন্নয়‌নে শী‌র্ষে নি‌য়ে যাব এটাই প্রতাশ্যা।
  Categories : Personal Blog  Posted by Sultan Mahmud  No Comments
জুলাই/২২ মাসে প্রবাসী আয় ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। দেশের অর্থনীতিতে নিঃসন্দেহে স্বস্তির সুবাতাস।প্রবাসের পা ফাটা শ্রমিকের ঘামের বিনিময়েই দেশের রিজার্ভ সমৃদ্ধ হয়। আমদানী নির্ভর দেশে রিজার্ভ যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ গত কয়েক মাসে দেশের মানুষ সেটা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন । বিত্তবান থেকে সাধারণ পযন্ত সর্বত্র আলোচনা শুধু একটাই রিজার্ভ তলানীতে চলে যাচ্ছে। আমাদেরও শ্রীলংকার মত অবস্থা না হয়। কিছুদিন আগেও আমরা রিজার্ভ নিয়ে গর্ব করতাম কিন্তু মাত্র কয়েকমাসের ব্যবধানে ৪৮ বিলিয়ন ডলার থেকে ৩৯.৪৯ বিলিয়ন ডলার নেমে আসায় দেশের অর্থনীতিতে যে বড় ধরণের ধাক্কা লেগেছে সেটা তো অস্বীকার করার উপায় নেই। চারিদিকে ডলার সংকট শুরু হয়েছে। ডলা‌র সং‌কটের কার‌ণে পণ্য আমদানী‌তে নানা রকম কাটছাট করা হ‌চ্ছে। চি‌কিৎসার কার‌ণে সাধারণ মানুষ বি‌দেশ যাত্রাতেও বাধা হ‌য়ে দাড়াচ্ছে ডলারে সংকট। মুদ্রাস্ফী‌তি দিন দিন বে‌ড়েই চ‌লে‌ছে। এমন অবস্থায় জুলাই মাসে ২.২ বিলিয়ন ডলার প্রবাসী আয় যেন নতুন করে ঘুরে দাড়াবার প্রত্যয়। গত অর্থবছ‌রে রে‌মিট্যান্স এ‌সে‌ছে ২১,৩০ বি‌লিয়ন ডলার। এ অর্থবছরে অন্তত ৩০ বি‌লিয়ন ডলার রে‌মিট্যান্স আস‌লে অ‌নেক বড় বড় সমস্যাও আমরা কা‌টি‌য়ে উঠ‌তে পার‌বো আশা করা যায়। আশা ক‌রি ভ‌বিষ্যতে এই সকল রে‌মিট্যান্স যোদ্ধা‌দের প্রতি দেশ ও জা‌তি যথাযথ সম্মান দেখা‌বে। এয়ার‌পো‌র্টে এদের হ‌তে হ‌বে না লা‌ঞ্চিত বরং সম্মা‌নের সা‌থে গ্রীন চ্যানেল দি‌য়েই পার হ‌তে পার‌বেন। প‌রি‌শে‌ষে রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের প্রতি রইল সালাম।
  Categories : Personal Blog  Posted by Sultan Mahmud   ,  No Comments
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনের মধ্যেই দেশ ৫০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানী আয় অতিক্রম করলো। চলতি অর্থবছরে রপ্তানী লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৩,৫০ বিলিয়ন ডলার। গত মে/২২ মাসেই রপ্তানী আয় ছিল ৪৭ বিলিয়ন ডলার। চলতি মাসের পর্যন্ত আরো (২৭/৬/২২) ৩,২০ বিলিঃ ডলার আয় করে রপ্তানী আয় ৫০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম, নিঃসন্দেহে দেশের জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি হিসেবেই ধরা যায়। যদিও তৈরী পোশাক ও হোম টেক্সটাইল খাত থেকেই রপ্তানী আয় প্রায় ৮৩%। সংশ্লিষ্ট মহল আন্তরিক হলে ভবিষ্যতেঃ১)কৃষি ও কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য,২)পাট ও পাট জাতীয় পণ্য,৩)চামড়া ও চামড়া জাতীয় পণ্যএই তিনটি সেক্টরের যথাযথ উন্নয়নের মাধ্যমে রপ্তানী আয় ১০০ বিলিয়ন ডলারের মাইল ফলক ছোঁয়াও অসম্ভব বলে মনে করি না।আমাদের উত্তর অঞ্চল বিশেষ করে রাজশাহী জেলাতে ভারী শিল্প নেই বলে অনেকেই হাই—হুতাস করেন। বিনয়ের সাথে জানতে চাই ভারী শিল্পের কি প্রয়োজন? সৃষ্টিকর্তার অপার মহিমা আর পা ফাটা কৃষকের পরিশ্রমে বিস্তীর্ণ কৃষি জমিতে উপচে পড়া ফসল, চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত উৎপাদনে ভরপুর মাছ, মুরগী, ডিম, আম, পান, টমেটো, আলুসহ নানা ধরণের খাদ্যদ্রব্যগুলিকে রপ্তানী প্রক্রিয়ায় নিয়ে আসতে পারলে অদুর ভবিষ্যতে রপ্তানী আয় ১০০ বিলিয়ন ডলার আমাদের বাস্তবতার মধ্যেই চলে আসবে।
  Categories : Personal Blog  Posted by Sultan Mahmud   ,  No Comments
জনসংখ্যার আধিক্য, ক্রমাগত জমির পরিমাণ কমে যাওয়াসহ জলবায়ু পরিবর্তনে সৃষ্ট বৈরী প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে খাদ্যশস্য উৎপাদনে নজির সৃষ্টি করে চলেছেন এদেশের পরিশ্রমী কৃষকরা। এরই ধারাবাহিতকায় কৃষি সেক্টরে বিগত ১০ বছরে এসেছে ঈর্ষণীয় সাফল্য। নিবিড় পরিচর্ষার মাধ্যমে আমাদের প্রধানতম খাদ্য ধান,গম, ভূট্টাসহ অন্যান্য মৌসুমীফলও উদ্বৃত্ত উৎপাদন হচ্ছে। দেশে পেয়ারা, সবজি, আম এবং আলুসহ আরো নানারকম মৌসুমী ফলের উৎপাদন বেড়েছে চাহিদার তুলনায় অনেক বেশী। তেমনি মানুষের আমিষের চাহিদার তুলনায় অনেক বেশী মাছ, মুরগী এবং ছাগল উৎপাদন বেড়েছে। চাহিদার তুলনায় উৎপাদন বেশী হওয়ায় পরিশ্রমী প্রান্তিক কৃষকেরা প্রতিনিয়ত আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন। ক্রমাগত লোকসানে তাদের ব্যক্তি/পারিবারিক জীবনে নেমে আসছে নিদারুণ হতাশা। এই হতাশাকে আরো ভয়াবহ করে তোলে দেশের জটিল ব্যাংক ব্যবস্থা। ফলে কৃষকের পুঁজি একবার হারিয়ে গেলে সেটা রিকভার করার কোন ব্যবস্থা থাকে না। করোনার প্রথম ধাক্কায় দেড় মাসে পোশাক শিল্পে ৩৮ হাজার কোটি টাকার অর্ডার হারানো কথা জেনেছি আমরা কিন্তু একই সময়ে কৃষিখাতের ক্ষতি হয়েছে (ব্র্যাকের গবেষণামতে) ৫৬ হাজার কোটি টাকা। এই ক্ষতির বিপরীতে কৃষিজীবীরা কি পেয়েছেন? সুতরাং কৃষিখাত নিয়ে নতুন করে ভাবনার নতুন করে পরিকল্পনার সময় এসেছে। বিশ্বের অনেক দেশেই আমাদের উৎপাদিত পেয়ারা, সব্জি, আলু, পান এবং আমসহ অন্যান্য কৃষিজাত দ্রব্যের ভাল বাজার রয়েছে। তেমনি মাছ, মাংসসহ অন্যান্য কৃষিজাত পণ্য রফতানীর করেও বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব। আর্ন্তজাতিক বাজারে এখনো সুবিধা করতে না পারার দরুণ কৃষিতে জিডিপি’র অবদান নিতান্তই সামান্য। অথচ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলো স্বল্প পরিমান আবাদি জমি ব্যবহার করে আধুনিক উন্নত প্রযুক্তির দ্বারা কৃষি সেক্টরে জিডিপি—তে ব্যাপক অবদান রাখতে সক্ষম হচ্ছে। এক পরিসংখ্যানে দেখা যায় বাংলাদেশ ৬০%, ভারত ৫৩%, পাকিস্থান ৪০%, থাইল্যান্ড ৩৩% এবং চীন মাত্র ১৩% আবাদি কৃষি জমি ব্যবহার করেও দীঘদিন থেকে ধান উৎপাদনে বিশ্বের মধ্যে প্রথম স্থান ধরে রেখে জিডিপি—তে অবদান রাখচ্ছে সর্বোচ্চ। অথচ আমরা ৬০% আবাদি কৃষি জমি ব্যবহার করে জিডিপি—তে উল্লেখযোগ্য কোন অবদানই রাখতে পারছি না। ২০১৮—১৯ অর্থবছরে কৃষি/অকৃষি সব দ্রব্য মিলিয়ে রপ্তানী করে ৪০.৫০ মিলিয়ন ডলার আয় করেছি। শুধু মাত্র পোশাক খাত থেকে এসেছে ৩৪ মিলিয়ন ডলার অথ্যাৎ জিডিপি’র ৮৪%। কৃষিপণ্যের মধ্যে চিংড়ি, জীবন্ত ও হিমায়িত মাছ, কাঁকড়া, সবজি, তামাক, চা, মসলা, ফুল/ফলসহ অন্যান্য রপ্তানী করে ১.৪০ মিলিয়ন ডলার—৩.৫%। এছাড়া পাট ও পাটজাত দ্রব্যের মাধ্যমে ০.৮২%। চামড়া ও চামড়াজাত দ্রব্য হতে ১.০২%। কৃষিজাত দ্রব্য রপ্তানী আয় খুবই কম। বিশ্বের ১০টি দেশ কৃষি ও কৃষিজাত দ্রব্য হতে জিডিপিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছে এর মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার ৪টি দেশ চীন (৭৩%), ইন্দোনেশিয়া(৩৯%), থাইল্যান্ড(৩৬%) এবং ভারত(৩৫%)। উত্তম কৃষি পদ্ধতি, আধুনিক প্রক্রিয়াকরণ ও সংরক্ষণের ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের যে সম্ভাবনা আমাদের সামনে উঁকি দিচ্ছে সেটাকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কাজে লাগানো গেলে দেশের পরিশ্রমী কৃষিজীবিরা সম্মানের সাথে বাঁচেতে পারবেন সাথে জিডিপিতেও উল্লেখযোগ্য অবদান রাখা সম্ভব হবে বলে আমি মনে করি।
  Categories : Personal Blog  Posted by Sultan Mahmud   , , ,  No Comments
একটা প্রবাদ ছিল বিশ্বে দুভিক্ষ কবে হবে উত্তরে বলা হতো চীনারা যেদিন কাঠি ছেড়ে হাত দিয়ে খাওয়া শুরু করবে। সেই বাস্তবতাকে উপলদ্ধি করে সময়ের সাথে চীন ধান উৎপাদনে ব্যাপক সফল হয়েছে। বহু বছর ধরে ধান উৎপাদনে শীষস্থান ধরে রেখেছে চীন। উৎপাদন প্রায় ১৫ কোটি মেট্রিক টন। পর্যায়ক্রমে ভারত ইন্দোনেশিয়ার পরই ৪ নম্বরে অবস্থান ছিল বাংলা‌দে‌শের। বর্তমান সম‌য়ে ই‌ন্দো‌নে‌শিয়া‌কেও পিছ‌নে ফে‌লে ধান উৎপাদ‌নে ৩য় অবস্থা‌নে চ‌লে এ‌সে‌ছে। হেক্টর প্রতি ২.৫০ মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের মাধ্যমে বিশ্ব-দরবারে রোল মডেলে পরিনত হয়েছে বাংলাদেশ। এরই ধারাবাহিকতায় কৃষি সেক্টরেও ঈর্ষণীয় সাফল্য অব্যহত রেখেছি আমরা। জনসংখ্যার আধিক্য, জমির পরিমাণ কমে যাওয়াসহ জলবায়ু পরিবর্তনে সৃষ্ট বৈরী প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে খাদ্যশস্য উৎপাদনে নজির সৃষ্টি করে চলেছেন এ দেশের কৃষকরা। নিবিড় চাষের মাধ্যমে বাংলাদেশ সবজি উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে তেমনি আলু ও আম উৎপাদনে সপ্তম এবং প্রতি বছরই উদ্বৃত্ত থাকে বিপুল পরিমাণ আলু। ‌সোনালী পাট আবারও ফি‌রে আস‌তে শুরু ক‌রে‌ছে। এখন পাট ও পাটজাত দ্রব্য ব্যাপকভাবে রপ্তানী হ‌য়ে বি‌শ্বের অ‌নেক দে‌শে। তথ্যমতে ২০২১-২২ অর্থ বছ‌রে পাটজাত দ্রব্য রপ্তানী ক‌রে দে‌শ প্রায় ৯০ কো‌টি ডলা‌র আয় ক‌রে‌ছে। উৎপাদ‌নের পেয়ারায় অষ্টম অবস্থান ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। গম এবং ভূট্টা উৎপাদন বেড়েছে কয়েকগুন। একটা পরিসংখ্যানে প্রায় ৫০ লাখ টন ভুট্টা উৎপাদন বেড়েছে দেশে। য‌দিও গম ও ভূট্টা দেশীয় চা‌হিদার তুলনায় উৎপাদন অ‌নেক কম। আমদানীর উপর এখ‌নো নির্ভরশীল থাক‌তে হয়। দেশের মানুষের আমিষের চাহিদা মেটাতে মাছ উৎপাদনে চতুর্থ অবস্থান ধরে রেখেছে অনেক আগে থেকে। শুধু পো‌ল্ট্রি সেক্টরেই প্রায় ৮৮ লক্ষ মানুষ প্রত্যক্ষ/পরোক্ষভাবে জড়িত। দেশীয় চাহিদার তুলনায় অনেক বেশী উৎপাদনের কারণে প্রান্তিক চাষীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। সং‌শ্লিষ্ট মহ‌লের স‌হোয‌গিতায় মাছ এবং পো‌ল্ট্রি সেক্টরও হতে পারে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অ‌নেক বড় খাত। চা উৎপাদনের আমরা বরাবরের মতই অভূতপূর্ণ সাফল্য ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছি।স্বাধীনতা পূর্ব সময়ে ০৭ কোটি মানুষের খাদ্যের চাহিদা মেটাতেই দেশকে হিমশিম খেতে হয়েছে, আজ ১৮ কোটি মানুষের চাহিদা পূরণ করেও বিভিন্ন দেশে খাদ্যসামগ্রী রপ্তানী করা হচ্ছে। সময়ের বিবর্তনে যেমন এসেছে নতুন ফসল তেমনি প্রসারিত হচ্ছে নতুন সব প্রযুক্তি।
  Categories : Personal Blog  Posted by Sultan Mahmud   , , ,  No Comments
চতুর্থ শিল্প বিপ্লব দরজায় কড়া নাড়‌ছে এখন আন্তঃদেশীর যোগাযোগ ব্যবস্থা আ‌রো প্রসা‌রিত করা প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক প‌রিমন্ড‌লে শুধু ভৌগ‌লিকগত অবস্থা‌নের কার‌ণেই য‌থেষ্ঠ গুরুত্ব পা‌চ্ছে বাংলা‌দেশ। এই গুরুত্বকে আ‌রো শক্ত অবস্থা‌নে নেয়ার জন্য ভারত, নেপাল ও ভুটা‌নের সা‌থে বহুমা‌ত্রিক যোগা‌যোগ ব্যবস্থা তৈরীর মাধ্যমে আ‌ঞ্চলিক বা‌নিজ্যকেন্দ্র হি‌সে‌বে প‌রিনত হবার সু‌যোগ এখন বাংলা‌দে‌শের সাম‌নে অ‌পেক্ষা কর‌ছে। সিরাজগঞ্জ,কু‌মিল্লা,রাজশাহী, নারায়নগঞ্জ, দাউদকা‌ন্দি ও চিলমা‌রি এ ছয়‌টি শহর নতুন অর্থ‌নৈ‌তিক কেন্দ্র হি‌সে‌বে গ‌ড়ে উঠ‌বে। প‌ণ্যের অবাধ চলাচ‌লের মাধ্যমে পাশ্ববর্তী দেশগু‌লি‌তে রপ্তানী বাড়‌বে নি‌শ্চিতভা‌বেই বলা যায়। ফ‌লে বাংলা‌দে‌শের অর্থনৈ‌তি‌তে উচ্চহা‌রে প্রবৃ‌দ্ধি অর্জনের ধারা অব্যাহত থাক‌বে ব‌লেও আশা করা যায়।
  Categories : Personal Blog  Posted by Sultan Mahmud   , , , ,  No Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *