স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনের মধ্যেই দেশ ৫০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানী আয় অতিক্রম করলো। চলতি অর্থবছরে রপ্তানী লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৩,৫০ বিলিয়ন ডলার। গত মে/২২ মাসেই রপ্তানী আয় ছিল ৪৭ বিলিয়ন ডলার। চলতি মাসের পর্যন্ত আরো (২৭/৬/২২) ৩,২০ বিলিঃ ডলার আয় করে রপ্তানী আয় ৫০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম, নিঃসন্দেহে দেশের জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি হিসেবেই ধরা যায়। যদিও তৈরী পোশাক ও হোম টেক্সটাইল খাত থেকেই রপ্তানী আয় প্রায় ৮৩%। সংশ্লিষ্ট মহল আন্তরিক হলে ভবিষ্যতেঃ ১)কৃষি ও কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, ২)পাট ও পাট জাতীয় পণ্য, ৩)চামড়া ও চামড়া জাতীয় পণ্য এই তিনটি সেক্টরের যথাযথ উন্নয়নের মাধ্যমে রপ্তানী আয় ১০০ বিলিয়ন ডলারের মাইল ফলক ছোঁয়াও অসম্ভব বলে মনে করি না। আমাদের উত্তর অঞ্চল বিশেষ করে রাজশাহী জেলাতে ভারী শিল্প নেই বলে অনেকেই হাই—হুতাস করেন। বিনয়ের সাথে জানতে চাই ভারী শিল্পের কি প্রয়োজন? সৃষ্টিকর্তার অপার মহিমা আর পা ফাটা কৃষকের পরিশ্রমে বিস্তীর্ণ কৃষি জমিতে উপচে পড়া ফসল, চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত উৎপাদনে ভরপুর মাছ, মুরগী, ডিম, আম, পান, টমেটো, আলুসহ নানা ধরণের খাদ্যদ্রব্যগুলিকে রপ্তানী প্রক্রিয়ায় নিয়ে আসতে পারলে অদুর ভবিষ্যতে রপ্তানী আয় ১০০ বিলিয়ন ডলার আমাদের বাস্তবতার মধ্যেই চলে আসবে।