১লা বৈশাখ ১৪২৯ বাংলা নববর্ষ। দিনটি সকল বাঙ্গালি জাতির ঐতিহ্যবাহী বর্ষবরণের দিন হিসেবে দীর্ঘদিন হতেই বিবেচিত হয়ে আসছে। এটি বাঙ্গালিদের একটি সর্বজনীন লোক উৎসবও বলা চলে। বর্তমান সময়ে ১লা বৈশাখ কে কেন্দ্র করে বিপনী বিতানগুলোতেও উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা যায়। প্রসঙ্গত বলা চলে স্বাধীনতা উত্তর সময় হতেই ছোট আকারের হলেও ১লা বৈশাখে “আনন্দ শোভাযাত্রা” বের হতো। কিন্তু এই “আনন্দ শোভাযাত্রা” ই কিভাবে যেন ১৯৮৯ সাল হতে “মঙ্গল শোভাযাত্রা” তে রুপ নেয়। সে যাই হোক ধীরে ধীরে “মঙ্গল শোভাযাত্রা” বাঙ্গালির নববর্ষ উদযাপনের একটা প্রধান আকর্ষণ হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। তবে ২০১৬ সালে ইউনেস্কো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে আয়োজিত মঙ্গল শোভাযাত্রাকে “মানবতার অমূল্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য” ঘোষণা বাঙ্গালি জাতীর বাংলা নববর্ষ উদযাপনকে বিশ্বব্যাপী পরিচিত করে তোলে। বাংলাদেশে নববর্ষ ১৪ এপ্রিল পালন করা হলেও পশ্চিমবঙ্গে ১৫ এপ্রিল পালন করা হয়। ভারতে তিথি পঞ্জিকা আর বাংলাদেশে গ্রেগরীয় পঞ্জিকা অনুসারে বাংলা একাডেমি কর্তৃক ১৪ এপ্রিল বাংলা বছরের প্রথম দিন হিসেবে নিদিষ্ট করা হয়েছে। বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গে নববর্ষের দিনটি সরকারী ছুটির দিন হিসেবে গৃহীত। সম্রাট আকবরের শাসনামলে পহেলা বৈশাখের নানা আনুষ্ঠানিকতা দিয়ে শুরু হলেও পরবর্তিতে বাঙ্গালির বিভিন্ন রীতি নীতি আমাদের বর্ষ বরণে স্থান করে নিয়েছে। বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ীরাও দিনটিকে নতুনভাবে ব্যবসা শুরু করার উপলক্ষ হিসেবে ধরে নেন। ধর্ম বর্ণ গোত্র নিবিশেষে ১লা বৈশাখ বাঙ্গালি জাতীর নিজস্ব উৎসব হিসেবেই যুগে যুগে পালিত হয়ে আসছে।
Tags: ১৪২৯, ১লা বৈশাখ, নববর্ষ, বাঙ্গালি সমাজ
If you enjoyed this article please consider sharing it!
Colorway Wordpress Theme by InkThemes.com