৩০/০৬/১৯৭২ সালে দেশের প্রথম বাজেট ৭৮৬কোটি টাকা এবং খাদ্য উৎপাদন ছিল বার্ষিক ১কোটি ৮০লক্ষ টন। স্বাধীনতার ৫০তম বছরে বাজেট ৬০৩,৬৮১কোটি টাকা এবং খাদ্য উৎপাদন প্রায় ৪কোটি ৫৬ লক্ষ টনের মাধ্যমে দেশের ১৮ কোটি বৃহৎ জনগোষ্ঠির খাদ্য নিরাপত্তা অনেকটাই সুনিশ্চিত করা হয়েছে। ৪৫বিলিয়ন ডলার রির্জাভ মানি নিয়ে এগিয়ে চলছে দেশ। রুপালী ইলিশ উৎপাদনে দীর্ঘদিন থেকে শীর্ষস্থান দখলে রেখেছে বাংলাদেশ তেমনি চাল, পিয়াজ, সবজি, চা এবং ছাগল উৎপাদনে বিশ্বে ৩য়। কার্ব জাতীয় মাছ, মুরগী, ডিম উৎপাদনে শীর্ষ ২য় স্থান দখলে রেখেছে। মাথা পিচু আয় ১৯৭৩ সালে মাত্র ৭০ ডলার হলেও জানুঃ/২২ এ প্রায়২,৮০০ ডলার আয় নিয়ে সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষেই অবস্থান করছে। কৃষিজ ও পাটজাত দ্রবব্য ব্যাপক পরিমান যেমন রপ্তানী হচ্ছে তেমনি চামড়াজাত দ্রব্যাদিও থেমে নেই রপ্তানীতে (ডিসেঃ/২১পর্যন্ত প্রায় ৫৭ কোটি ডলার)। জিডিপিতে সামান্য হলেও অবদান রেখে চলেছে। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে বিশ্বব্যাপি খাদ্য সংকট দেখা দিলেও দেশে এখনও ২০ লক্ষ টনের খাদ্য মজুদ থাকায় শীঘ্রই খাদ্য ঘাটতির সম্ভবনা নেই বলা যায়। নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় ৩১ হাজার কোটি টাকা ব্য়য়ে পদ্মা সেতু আমাদের অহংকার। দেশের ৬৫% এর বেশী জনগন তরুণ। পজিটিভ বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে নিঃসন্দেহে, দেশ এগিছেয়ে তবু গায়ে কালিমাও কম নেই।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুয়ায়ী সেপ্টে/২১ হতে জানুঃ/২২ এর মধ্যে দেশের ব্যাংকগুলো হতে প্রায় ৫৫ হাজার কোটি টাকা হাওয়া হয়ে গেছে। আশংকা করা হচ্ছে এত বিশাল অংকের টাকা হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার হয়েছে। প্রায় ১০৫,০০০কোটি টাকা খেলাপী ঋণ নিয়ে ব্যাংকগুলি কিছুটা ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। ১০/১১ ব্যাংকে মুলধন সংকটের খবর সকলেই জানা। এখনো দেশে ৫ কোটি মানুষ দারিদ্রসীমার নীচে বাস করেন। ৪র্থ শিল্প বিল্পবের দাড় প্রান্তে দাড়িয়েও শিক্ষার বাজেটে বরাদ্দ মাত্র ২% যা সার্কভুক্ত যেকোন দেশের থেকে কম। উচ্চ শিক্ষায় আমেরিকায় যাওয়া শিক্ষার্থীদের তালিকায় নেপালও বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে গেছে। নেপাল১১৩ আর বাংলাদেশ অবস্থান করছে ১১৭ নম্বরে। আন্তর্জাতিক কোন র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের কোন বিশ্বদ্যিালয়ের নাম সম্মানজনক অবস্থানে থাকে না, থাকে ভারত,পাকিস্থান, শ্রীলন্কা নেপালের বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম। এখনোও বড় বড় আমলাগন পুকুর কাটা, ক্যামেরা কেনা অথবা খিচুরী রান্না শিখতে বিদেশে বেড়াতে যেতে আগ্রহী। এখনো দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে আমাদের ইন্টারনেট, মোবাইল ডেটার গতি সবচেয়ে কম। ১৯৬৫ সালের জেলেপল্লী সিঙ্গাপুরকে লি কুয়ান ইউ বা ৮০এর দশকে মাহাথির মোহাম্মদ মালোশিয়াকে দক্ষ মানব সম্পদ তৈরীর মাধ্যমে উন্নয়নের শীর্ষ পর্যায়ে নিয়ে গেছেন।দেশে প্রতি বছর প্রায় ২২লক্ষ শিক্ষিত তরুন চাকুরীর বাজারে প্রবেশ করতে চাইলেও সরকারী বেসরকারীসহ নানা প্রতিষ্ঠানে কাজে সংস্পৃক্ত হবার পরও প্রায় ১০/১২ লাখ তরুণ নিজেদের জন্য কোন চাকুরী জোগাড় করতে না পেরে হতাশা গ্রস্থ হয়ে পড়েন। প্রকৃত উন্নয়ন টেকসই উন্নয়নের ধারায় দেশকে নতুনরুপে গড়ে তোলার জন্য প্রথম এবং শেষ শর্ত মানব সম্পদের উন্নয়ন। সুতরাং মানব সম্পদ উন্নয়নে দেশকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।
If you enjoyed this article please consider sharing it!
Colorway Wordpress Theme by InkThemes.com